রবিবার, ১৭ জুন, ২০১২

দীপুর বচন : কালামে আবুল মা’ল : ‘আই অ্যাম একদম ফেডআপ’



আ ব দু ল হা ই শি ক দা র
এক
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কালো বিড়াল, দিলীপ বড়ুয়ার প্লট প্রাপ্তি, ইনু এমপির খালেদা খেদানোর হম্বিতম্বি, আহাদ আলী সরকারের ছেড়া পাঞ্জাবি-তত্ত্ব কিংবা লতিফ বিশ্বাসের ৭-তলা বাড়ি আমার আজকের আলোচ্য বিষয় নয়। গত সাড়ে ৩ বছরে আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ যেসব কীর্তি-কাহিনী স্থাপন করেছেন, তা হয়তো পর্যায়ক্রমে আরও সবিস্তারে জানা যাবে।
আমার চোখের সামনে এখন মানুষ। নাফ নদীতে ভাসমান মানুষ। তাদের ক্ষুধার্ত আতঙ্কিত স্বজন পরিজন। তাদের পেছনে মৃত্যু, অগ্নিসংযোগ, মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনী, পুলিশ বাহিনী এবং লুণ্ঠন বাহিনীর মধ্যযুগীয় বর্বরতার পৈশাচিক উল্লাস। ওই ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক নিষ্ঠুর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গারা প্রাণভয়ে ছুটে আসছে বাংলাদেশে, বাঁচার জন্য, আশ্রয়ের জন্য। নাফের পানিতে লাশ। মাথার উপরে ঝড় বৃষ্টি। উত্তাল ঢেউয়ে ডুবু ডুবু তাদের নৌকা ভরা ভয় আর ক্ষুধা।
ফিলিস্তিনিদের মতো রোহিঙ্গাদেরও কেউ নেই। তারা যে বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসছে সেই বাংলাদেশ সরকার বেঁকে বসেছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে সরকার হুঙ্কার দিয়ে বসেছে, আর ১ জন রোহিঙ্গাকেও এদেশে আশ্রয় দেয়া হবে না। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
পেছনে মৃত্যু। সামনে বাধার বিন্দ্যাচল। নিচে পানি। ওপরে খোলা আকাশ। মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ে তারা যখন ভাসছে আর কাঁদছে, সেই সময় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দাঁড়িয়ে ৩০০ বিধিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বক্তব্য পেশ করছিলেন। তার উচ্চারণ ও বাচনভঙ্গি ছিল দেখার মতো। কণ্ঠে ছিল অসীম দৃঢ়তা (উনারা শক্তের ভক্ত নরমের জম, লোকে বলে)। দুর্বল প্রতিপক্ষ পেলে জবান পুরোদস্তুর খুলে যায়। তার কথার সংক্ষিপ্তসার হলো, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদে আমরা স্বাক্ষর কিংবা অনুস্বাক্ষর করিনি। আন্তর্জাতিক আইনের কোনো বাধ্যবাধকতা আমাদের ওপর নেই। প্রথাগত আইনের কোনো দায়বদ্ধতা ও বাধ্যবাধকতা নেই। আমরা কোনো শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে বাধ্য নই। তাদের জন্য আমরা আমাদের দেশের সীমান্ত খুলে দিতে বাধ্য নই।
অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকেই যে তার কণ্ঠ দিয়ে প্রচুর লাল মরিচের গুঁড়া বের হচ্ছিল তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সঙ্গে তিনি নতুন বাণী যুক্ত করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। তার কথায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাকি মিয়ানমারের রাখাইনদের হাতে রোহিঙ্গা নিধনের জন্য দায়ী। তারাই নাকি মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের উসকে দিয়ে এসেছে।
হাসবো না কাঁদবো বুঝে উঠতে পারছি না। দীপু মনি ডাক্তার মানুষ। তার মাথায় গোলমাল আছে তাও বলার সাহস পাচ্ছি না। তবে ‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলে কেষ্টা বেটাই চোর’ নামক রোগটি আওয়ামী কর্তাদের অতি পুরনো ব্যাধি। এবার তারা তাদের সে ব্যাধিকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হলেন। দেশের সীমানার বাইরেও এখন থেকে যা কিছু যেখানে ঘটবে তার সব দোষ ধরে নিতে হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর।
তো জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে কী করছেন সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।
তবে ডা. দীপু মনির এই বিখ্যাত আভিধানিকভাবে নির্ভুল বাক্য বর্ষণ সেদিন শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আমার কেবলি মনে হচ্ছিল যেন মধ্যযুগীয় রক্তপিপাসু চেঙ্গিস খান কিংবা বাগদাদ ধ্বংসকারী হালাকু খানের প্রেতাত্মা যেন বহু শতাব্দী পরে মহিলা রূপ ধরে আমাদের পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। যেন ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে হাত-মুখ ধুয়ে এসে, চমত্কার পারফিউম গায়ে মেখে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন। তার ঠোঁট ও জিহ্বাকে সেদিন আমার মানুষের কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল ওগুলো হৃদয়হীন পাথর কিংবা লোহায় তৈরি। আর মাননীয় মন্ত্রীকে মনে হচ্ছিল বিমানবিক রোবট। ন্যায়, নীতি, মানবতা, এগুলো যার কাছে কোনো মূল্য বহন করে না। শুধু অভিধানই সত্য। মনে হচ্ছিল সেই কবিতার পঙক্তি :
‘বালিকা ভুল করে নেমেছে ভুল জলে
পড়েছে ব্যাকরণ, পড়েছে মূল বই।’

—নইলে ভুপেন হাজারিকার গানের গন্ধ থাকতো তার কণ্ঠে ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না।’
দেড় হাজার বছর আগে পবিত্র কোরআন বলে গেছে, ‘মানুষ হলো আশরাফুল মাখলুকাত।’ ত্রয়োদশ শতাব্দীর কবি চণ্ডীদাস বলে গেছেন,
‘শুনহে মানুষ ভাই
সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই।’
এই একই বাণীর অনুরণন পাই বিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্য উচ্চারণ জাতীয় কবি নজরুলের মধ্যে কবিতায় :
‘গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহিয়ান।’

‘বালিকা’ দীপু মনি ‘বাফার স্টেট’ বোঝে না। তিনি এত বড় বড় নীতিকথার নির্গলিতার্থ অনুধাবন করবেন কী করে! তার সমস্যাটা আমাদের বুঝতে হবে। তিনি যে কালচারের মধ্যে বড় হয়েছেন তার মূল কথা হলো, ‘অনুকূল বাতাসে বেড়ে ওঠো, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লুকিয়ে পড়।’ বিপদ যতক্ষণ নাই ততক্ষণ গলা ফাটাও। বিপদ দেখলে নেতার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রেখে শপথ নিতে ছুটে যাও। অথবা গর্তে ঢুকে পড়।
লজ্জা নারীর ভূষণ হলেও আমরা আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নারী ও পুরুষের বাইরেই দেখি। নইলে তিনি শরমের মাথা খেয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রসঙ্গ টানতেন না। টানলেও সঠিকভাবেই টানতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। হয়তো দেখেননি। দেখলে রোহিঙ্গাদের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্য দেখাতে পারতেন না। আমাদের অবস্থা ’৭১ সালে যা ছিল আজকের রোহিঙ্গাদের অবস্থা তা-ই। পার্থক্য, আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলাম আর হতভাগা রোহিঙ্গারা অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে রত।
পাকিস্তানের নিজস্ব সমস্যা বলে ভারত যদি তাদের খুনি বিএসএফকে বর্ডার নিশ্ছিদ্র করার আদেশ দিত, তাহলে আমাদের কী হতো? দীপু মনিকে ভেবে দেখতে বলি।
আমাদের সংবিধান তো পরিষ্কারভাবে বলে মানুষ ও মানবতার পক্ষে দাঁড়াও। শোষিত বঞ্চিত নিগৃহীতের পাশে দাঁড়াও। আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দাও। ক্ষুধার্তকে খাবার দাও।
তাহলে তো দেখা যাচ্ছে যে কোনো বিচারেই ডা, দীপু মনির বক্তব্য মানবতাবিরোধী তো বটেই, একইসঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বিশ্বাসেরও পরিপন্থী।
মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ বাধানোর জন্য কোনো কুপরামর্শ দীপুকে কেউ দেবে না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ একবাক্যে বলবে, ‘ফ্লাইং পররাষ্ট্রমন্ত্রী’ হিসেবে যে খ্যাতি ও সুনাম আপনার আছে, তা কাজে লাগিয়ে দয়া করে একবার ইয়াঙ্গুন ঘুরে আসুন। প্রয়োজনে জাতিসংঘে যান। বড় বড় দেশগুলোতে যান। তাদেরকে বাংলাদেশের সমস্যাটা বলুন। রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর পথ বােল দিন। যেভাবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব চষে বেড়িয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
তা না করে তোতাপাখির মতো, দায়িত্বজ্ঞানহীন অবোধ প্রাণীদের মতো মিয়ানমারের অবস্থা স্বাভাবিক বলে বাণী দেবেন—সেটা খুব খারাপ কাজ হবে।

দুই
আমাদের রাজনীতিতে ‘বাংলিস’ ভাষার উদ্ভাবক বা আবিষ্কারক সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর। বাংলিস ভাষা মানে বাংলা ও ইংরেজি মিশেল। একটা জগাখিচুড়ি। এটা আবার হতে হবে একই বাক্যবন্দের মধ্যে। তাইতো তিনি বলেছিলেন, ‘উই আর লুকিং ফর শত্রুজ।’
এই আবিষ্কারের জন্য পৃথিবীর অন্যান্য আবিষ্কারকের মতো বাবরকেও সহ্য করতে হয়েছে অনেক গঞ্জনা, গালমন্দ, ঠাট্টা, ইয়ার্কি। তিনি সেসব নীরবে হজম করেছিলেন। কিন্তু তার আবিষ্কার যে এতদিনেও বৃথা হয়ে যায়নি, এটা যে ছিল সত্যি একটা নতুন জিনিস এবং দরকারি তা আবারও প্রমাণ করলেন আমাদের বয়োবৃদ্ধ অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মা’ল আবদুল মুহিত। বাবরের এই বাংলিস ভাষা বিস্তারের নিশান এবার তিনি স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে হাতে তুলে নিয়েছেন। বাবরের অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করার ঐতিহাসিক দায়িত্ব তিনি পরম মমতায় আপন কাঁধে তুলে নিয়ে সূচনা করেছেন নতুন যুগের।
শেয়ারবাজার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের গত ১৩ জুন বলেছেন, শেয়ার মার্কেট যথাযথভাবে কাজ করছে না। ‘আই অ্যাম একদম ফেডআপ।’ তিনি রাজ্যির বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, তবে এই দুষ্টু বাজারের জন্য যেটা ওষুধ সেটা আসছে।
শেয়ার বাজারের প্রতি মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নতুন নয়। এর আগেও তিনি অনেক উল্টোপাল্টা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে ফেড আপ করে ছেড়েছেন। এবার তার এই ‘বাংলিস’ শব্দ ব্যবহারের কারণে যা একটু নড়েচড়ে বসেছে সবাই।
তার এই বাংলিস ব্যবহারের সাহস ও প্রচেষ্টা দেখে নিশ্চয়ই কারান্তরালের নির্জন কক্ষে বসে বাবর সাহেব বেশ কৌতুক অনুভব করছেন। সেই কৌতুকের ছিটেফোঁটায় দেশবাসীও আজ আপ্লুত।
মুহিত সাহেব প্রবীণ মানুষ। অনেক তার নামডাক। তিনি আমাদের মধ্যে আরও দীর্ঘদিন বাঁচুন। তার সম্পর্কে কটুবাক্য ব্যবহার করা অসমীচীন হবে। তবে তার সম্মানে একটা মানপত্র কিংবা এক ধরনের এপিটাফের খসড়া করে পাঠিয়েছেন আমাদের এক পাঠক। সেটিই তুলে ধরছি :
ক) এখানে শুয়ে আছেন এমন একজন যিনি বাংলিস ভাষা প্রচলনে অপরিসীম গুরুদায়িত্ব পালন করে গেছেন।
খ) শেয়ারবাজারকে গোরস্থান বানিয়ে সেই গোরস্থানে ৩৩ লাখ লগ্নিকারীকে দাফন কাফনের ব্যবস্থা করে তিনি অমর কীর্তি স্থাপন করে গেছেন।
গ) তিনি এমন একজন ছিলেন যিনি শেয়ারবাজারকে কখনও ফটকা বাজার, কখনও দুষ্টু বাজার, লগ্নিকারীদের জুয়াড়ি বলে আখ্যায়িত করে অপূর্ব বচনামৃত বর্ষণ করে গেছেন।
ঘ) তিনি কথায় কথায় রাবিশ শব্দ ব্যবহার করতেন। তিনি মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেটস হিলারি ক্লিনটন এবং বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও ‘রাবিশ’ বলে গাল দেন। এই রাবিশ তার মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছিল।
ঙ) তিনি সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এক প্রিয় দালাল হয়ে প্রচুর কালিয়া-কোপতা, বিরিয়ানি, পায়েস খেয়ে হজম করে, অলৌকিক ক্ষমতার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘাড়ে সওয়ার হতে পেরেছিলেন। অতঃপর বাংলাদেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে গেছেন।
চ) আরেক ‘আবুল’ যে পদ্মা সেতু করতে পারলো না তার জন্যও নাকি আমাদের এই মহান ‘আবুল’ দায়ী। অবশ্য আল্লাহ সব ভালো জানেন।

তিন
মানুষ যখন দুর্ভিক্ষে মরছিল তখন আওয়ামী লীগের নেতা-এমপিরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গিয়েছিল। তাদের সৃষ্ট গডফাদারদের হাতে যখন মানুষ মরছিল তখনও নির্বিকার ছিল এই দলের লুণ্ঠন মানসিকতা। এবারও বলাবাহুল্য, গুম খুনের মচ্ছব চললেও সৈয়দ আবুল হোসেনদের হাসি ফুরায় না। এই হাসির কিঞ্চিত্ নতিজা পেশ করেছেন তরুণ এমপি গোলাম মওলা রনি। তার নাকি সবকিছুতেই হাসি পায়।
তিনি নিজেই লিখেছেন, ‘একবার বাস খাদে পড়ে গেল। অনেক আহত হলো। তিনি তা দেখে হাসি চেপে রাখতে পারলেন না। দৌড়ে নিকটস্থ শস্য ক্ষেতে গিয়ে এক পেট হাসলেন।’
আরেকবার নৌ দুর্ঘটনার মধ্যেও তার হাসি পেয়েছিল। বড় বড় ঢেউয়ের তাণ্ডব দেখে ছেলেমেয়ে, বুড়া-গুঁড়া সবাই কান্না শুরু করলো। কাঁদলে একেকজন একেক রকম মুখভঙ্গি করেন। চিত্কারের শব্দও ভিন্ন। কান্নার ফাঁকে ফাঁকে আবার দেখায় দরদ। তিনি হাসি থামাতে পারলেন না।
নিজেই আবার লিখেছেন, বিক্ষুব্ধ লোকজন সেদিন আমাকে লঞ্চ থেকে ফেলে দিতে চেয়েছিল।
প্রিয় পাঠক, দেশকে, দেশের মানুষকে দুঃখের দরিয়ায় ডুবিয়ে, দম্ভ করে যারা কথা বলে, বাজে আচরণ করে, নিষ্ঠুর এবং হৃদয়বিদারক ভঙ্গিতে হাসে, সত্যি সত্যি তাদের উপযুক্ত ওষুধ হলো লঞ্চ থেকে পানিতে ফেলে দেয়া। গোলাম মওলা রনি তার বিকৃত রুচির হাসির ফিরিস্তি দিতে গিয়ে জাতিকে এর প্রতিবিধানের পথও বাতলে দিয়েছেন। এই তরুণ এমপি মহোদয়কে সে জন্য ধন্যবাদ।
a_hyesikder@yahoo.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন